মুলাদী প্রতিনিধিঃ মুলাদীর মীরগঞ্জে আবারও বেপরোয়া আব্বাস গ্রুপ, বিএনপি নেতার গাড়ী বহরে হামলার অভিযোগ।


থানায় অভিযোগ ও আহত সুত্রে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের মীরগঞ্জ এলাকায় আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আব্বাস ও তার বাহিনী। গত ২৭ জুন শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৪.৩০মিনিটের দিকে মুলাদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি সিহাব উদ্দিন বাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা করে মীরগঞ্জ ফেরী ঘটে রওয়ানা করেন


এসময় তার সাথে ছিলেন, কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। হঠাৎ করে তারে গাড়ী বহরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন-সচিব হারুস বিশ্বাসের ভাই কাজিরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মন্টু বিশ্বাসের সহযোগী এবং বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র সাদেক আব্দুল্লাহর অনুসারী মৃত আ: রব হাওলাদারের পুত্র আব্বাস হাওলাদার, বসির হাওলাদার, কছির হাওলাদার, ইদ্রিস, নাসির, কন্যা শিলা, মোশারফ হাওলাদারের পুত্র রাজিব, সজিব, মালেক মৃধার পুত্র ফারুক মৃধা, সেকান বেপারীর পুত্র শাহাবুদ্দিন, সালাউদ্দিন, আমজেদ বেপারীর পুত্র বাবুল বেপারী, বাবুল বেপারীর পুত্র হাসান, হারুন এর পুত্র সিপন, আজিজুল, ধলু হাওলাদারের পুত্র মোবারক হাওলাদার সহ শতাধীক লোকজন।


এসময়, তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর ইট-পাটকেল, হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপি নেতা হাচেন হাওলাদারের পুত্র জাকির হাওলাদার, মৃত রশিদ সরদারের পুত্র সাইফুল সরদার সহ ২০- ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে জাকির ও সাইফুলকে বরিশাল সেবাচিমে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করেন।


বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও কাজিরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই আব্বাস হাওলাদার গংরা মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে তাদের রাম-রাজত্ব কায়েম করে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে আসছে।


তারা আরও জানান, আব্বাস বাহীনি কয়েকমাস পুর্বে ইউনিয়ন বিএনপির ফরম বিতরনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এছাড়াও, মুলাদী পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব এর উপর মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে বসে হামলা চালায় আব্বাস বাহীনি। এঘটনায় কাজিরচর ইউনিয়ন শ্রমীকদলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন সরদার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।